কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন ইব্রাহিমপুর পূর্বপাড়া গ্রামের হাজারী বাড়ির হাজ্বী কালু মিয়ার ছেলে দায়ে মোল্লা ভূঁইয়ার গরু খামারে পরিচর্যা করছেন খামার মালিক দায়ে মোল্লা।
গরুগুলিকে মানুষের আদলে লালন পালন ও সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে পরিচর্যা করা হচ্ছে। তবে সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু আসলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করছেন খামারী।
ভারতের চোরা পথে গরু আসা কমে যাওয়ায় এ এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত জাতের গরুর খামার তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন।
এবাবের কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য ছোট বড় প্রায় ৬টি গরু রয়েছে। আমার খামারে চার লাখ থেকে সর্বনিম্ন এক লাখ ৫০ হাজার টাকার দামের গরু রয়েছে।
আমার দুইটি বড় গরু রযেছে যার নাম ১০মণ কালো মানিকের দাম হাঁকছেন ৪ লাখ টাকা, তাও আলোচনা সাপেক্ষে ৯ মণ। লাল মানিকের দাম হাঁকছেন তিন লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। খামার মালিকের নিবিড় পরিচর্যায় এসব খামারের গরুগুলো অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় চেহারায় রূপ নিয়েছে।
খামারী মালিকরা দিন রাত কষ্ট পরিশ্রম করে এ সব গরুর পরিচর্যা করছেন। এক বছর আগে যে গরুগুলি এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় কিনেছেন সে সব গরুগুলি এখন চার লাখ টাকা দাম হলে বিক্রি করবেন।
ভারত থেকে এ বছর গরু কম আসায় এখনও পর্যন্ত বাজারে গরুর দাম ভালো আছে বলে জানান খামারীরা। তবে গরুর হাটে দেশের অন্যান্য এলাকার ব্যাপারী কম থাকায় বিক্রি কম হচ্ছে। এ উপজেলায় এবারের কোরবানিতে যে পরিমাণ গরু লাগবে তার দ্বিগুণ গরু রয়েছে এসব খামারে বলে জানান খামার মালিক দায়ে মোল্লা।