ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে পশুর হাট। পুরোদমে চলছে গরু, ছাগল মহিষ বেচাকেনা। এ হাটেই উঠেছে শান্ত রাজ, হিরো আলম, জায়েদ খান, লায়লা নামে বিশাল আকারের ষাঁড়। ২৫ লাখের শান্ত রাজের সঙ্গে ফ্রি আছে কালো মানিক নামে সোয়া লাখ টাকার গরু।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পশুর হাটে গরু কিনতে আসা মো. ফরিদ ও এরশাদ আলী জানান, ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কোরবানির পশু কিনতে হাটে এসেছেন। গত কয়েকদিন আরও কয়েকটি হাটে গিয়েছেন তারা। তবে মনের মতো গরু পাননি। কিন্তু এবার হাটে অন্যান্য বারের চেয়ে গরুর সংখ্যা অনেক বেশি। গরু বেশি আমদানি হওয়ায় দাম অনেকটা হাতের নাগালে। তবে এ বছর কোরবানির পশুর দাম গত বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশি। তবুও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু তারা।
কেনার চেষ্টা করছেন এ হাটেই খামারের গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন পাইকার রাশেদ মিয়া ও মনোয়ার হোসেন। তারা প্রত্যেকেই পাঁচ থেকে সাতটি গরু বিক্রির জন্য এনেছেন। তারা জানান, ক্রেতারা দাম কম বলছেন। এ বছর গো-খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় গরুর পেছনে খরচও বেশি হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের সঙ্গে দামে-দরে মিলে গেলে গরুগুলো বিক্রি করে দেবেন। রায়পুর থেকে আসা শামসু মিয়া এ হাটে সবচেয়ে বড় ষাঁড়টি তুলেছেন। যার ওজন প্রায় ১২শ কেজি বলে তিনি দাবি করছেন। এই ষাঁড়ের সঙ্গে কালো মানিক নামে আরেকটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরু ফ্রি দেবেন তিনি। শান্ত রাজ নামে বিশাল দেহের ষাঁড়টির জন্য তিনি দাম হাঁকাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা। তবে ১৮ লাখ হলে শান্ত রাজকে ছেড়ে দেবেন। এদিন ষাঁড়টির দাম উঠেছে ১৪ লাখ পর্যন্ত। এদিকে, প্রস্থে ৮ ফুট, উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের শান্ত রাজ বাজার মাতিয়ে রেখেছে। ক্রেতা ও উৎসুক জনতা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শান্ত রাজকে একনজর দেখার জন্য। পাশেই রয়েছে হিরু আলম, জায়েদ খান, লায়লা নামে আরও বিশাল আকৃতির তিনটি গরু। প্রতিটির ওজন ৪ থেকে ৫শ কেজি। বিক্রেতা গরুগুলোর দাম হাঁকাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা করে। ক্রেতারা ৫ থেকে ৬ লাখ পর্যন্ত দামাদামি করলেও এই দামে হিরু আলম, জায়েদ খান, লায়লাকে ছাড়তে রাজি নন বিক্রেতা।